দুবাই ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

দুবাই ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা জানার উদ্দেশ্যে আপনি বর্তমানে এই ওয়েবসাইটে অবস্থান করেছেন। আপনার দুবাই টাকার রেট সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর সহজভাবে দিতেই আমাদের এই পোস্ট। আশা করি দুবাই টাকার মান সম্পর্কিত এই পোস্ট থেকে আপনি উপকৃত হবেন এবং এই পোস্টটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের দেখাবেন। এতে সবাই উপকৃত হবে।

দুবাই ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা

দুবাই ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা তা এই টেবিল থেকে দেখে নিন। এই টেবিলে বিভিন্ন দুবাই টাকার নোট ভাঙ্গালে বাংলা টাকায় কত টাকা পাবেন তা সহজভাবে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে।

[gswpts_table id=47]

দুবাই মুদ্রার যে এক্সচেঞ্জ রেট বা বিনিময় মুল্য উপরের টেবিলে দেখতে পাচ্ছেন তা কিছুক্ষন আগেই সংশোধন করা হয়েছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন দুবাই মুদ্রার এই রেট সম্পূর্ণ আপডেটেড।

দুবাই ১ দিরহাম সমান কত টাকা

বর্তমানে দুবাই দেশে সবচেয়ে প্রচলিত মুদ্রার নাম হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম। দুবাই মুদ্রার সবচেয়ে আপডেট রেট জানানোর জন্য আমরা গুগোল ফাইনান্স চেক করেছি। গুগোল ফাইনান্সের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দুবাই ১ টাকা বাংলাদেশের ২৯ টাকা ৪৫ পয়সা।

এবার এই কারেন্সি কনভার্টার টুল ব্যাবহার করলে আপনি আপনার পছন্দমত যে কোন পরিমাণ দুবাই টাকা বাংলা টাকায় কনভার্ট করে দেখতে পারবেন সহজেই। এই কারেন্সি কনভার্টার টুলে সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম পরিমাণ লিখলেই বাংলায় টাকায় এক্সচেঞ্জ করে আপনাকে রেজাল্ট দেখিয়ে দেবে। আসুন দেখে নেই এই কারেন্সি কনভার্টার টুল কি দারুন কাজ করে-

এই টুল ব্যাবহার করা একদমই সহজ। আপনি জাস্ট দুবাই টাকার পরিমাণ লিখবেন উপরের বক্সে। দেখুন ম্যাজিকের মত নিচে আপনাকে বাংলা টাকায় কনভার্ট করে দেখাবে।

দুবাই টাকার মান কত

পৃথিবীর সকল দেশের মত দুবাই এরও নিজস্ব মুদ্রাব্যাবস্থা রয়েছে। বৈশ্বিক এবং অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন প্রভাবকে দুবাই টাকার মান নিয়ন্ত্রিত হয়। দুবাই দেশের সবচেয়ে প্রচলিত মুদ্রার নাম দিরহাম। দুবাই দেশটি তার সকল ধরনের লেনদেনে এই মুদ্রা ব্যাবহার করে। এছাড়া রিজার্ভ হিসাবে দুবাই প্রচুর ডলার এবং সোনা জমা করেছে। যা দুবাই অর্থনীতির ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুবাই মুদ্রার মান তারপরও সম্পূর্ণভাবে দেশটির রিজার্ভ, বৈদেশিক বাণিজ্য, আমদানি রপ্তানি, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে উঠা-নামা করে। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম রেটও প্রচুর উঠানামা করে।

দুবাই টাকার রেট কত টাকা

বাংলা টাকার সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম রেট সবসময় পরিবর্তনশীল। প্রতি মুহূর্তে রেট উঠানামা করছে, পরিবর্তন খুব বেশি না হলেও সেটা সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে সামান্য রেট উঠানামা করলেও আপনি যখন ভালো পরিমাণ দিরহাম এক্সচেঞ্জ করতে যাবেন তখন বুঝতে পারবেন সামান্য একটু রেট বাড়লে এক্সচেঞ্জ রেট অনেক বদলে গেছে। ২০১৮ সালে ১ দুবাই টাকা দিলে বাংলাদেশের ২২ টাকা ৮১ পয়সা , ২০১৯ সালে ২২ টাকা ৭৯ পয়সা ,২০২০ সালে ২২ টাকা ৭০ পয়সা ,২০২১ সালে  ২৩ টাকা ৫৩ পয়সা ,২০২২ সালে ২৮ টাকা ৮২ পয়সা পাওয়া যেত। বর্তমানে ১ দুবাই টাকা দিলে বাংলাদেশের ২৯ টাকা ৪৫ পয়সা পাওয়া যাচ্ছে।

দুবাই ১০০ দিরহাম সমান কত টাকা

গুগোল ফাইনান্সের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দুবাই ১০০ টাকা বাংলাদেশের ২৯৪৫ টাকা ০০ পয়সা।

দুবাই টাকার মান জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ

• ভ্রমনঃ ভ্রমনের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক দুবাই যাচ্ছেন। দুবাই যাওয়ার আগে ওই দেশের মুদ্রাব্যাবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে বাংলা টাকা ভাঙ্গানোর জন্যও প্রয়োজন পড়বে সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম মান জেনে রাখা।
• প্রবাসীঃ  দুবাই দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন নিয়মিত রেমিটেন্স পাঠিয়ে। প্রবাসীদের মাঝে মধ্যেই সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম ভাঙ্গানোর প্রয়োজন হয় দেশে বসবাসকারী স্বজনদের পাঠানোর জন্য। তাই দুবাই প্রবাসীদের দুবাই দিরহাম রেট জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• আমদানি-রপ্তানিঃ  আমদানি বা রপ্তানি নির্ভর বানিজ্য ডলারের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল হলেও দুবাই দেশে বানিজ্য করতে হলে আপনাকে দুবাই দিরহাম রেট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে সবসময়।
• উচ্চশিক্ষাঃ উচ্চশিক্ষার জন্য প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী দুবাই যাচ্ছে। টিউশন ফি পাঠানো, দুবাই যাওয়ার সময় টাকা সাথে নেয়া বা দেশে টাকা পাঠানো সবক্ষেত্রেই দরকার হবে দিরহাম রেট জেনে নেয়া।
• সাধারন জ্ঞানঃ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় দুবাই মুদ্রা সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। চাকরীপ্রার্থীদের জন্য দুবাই টাকার রেট জানার কোন বিকল্প নেই।

দুবাই টাকার মান জানা না থাকলে কি ক্ষতি হতে পারে

1. ভ্রমনঃ ভ্রমনের উদ্দেশ্যে যারা দুবাই যাচ্ছেন তারা দুবাই যাওয়ার আগে ওই দেশের মুদ্রাব্যাবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না নিলে বাংলা টাকা ভাঙ্গানোর সময় এক্সচেঞ্জ থেকে রেট কম পাবেন। এই মুহূর্তে দুবাই ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা জানা থাকলে এক্সচেঞ্জে দরদাম করতে পারবেন, এবং রেট ভালো পাবেন।
2. প্রবাসীঃ  দুবাই দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা দেশে বসবাসকারী স্বজনদের পাঠানোর জন্য মাঝে মধ্যেই দিরহাম ভাঙ্গান। দিরহাম রেট না জানা থাকলে এক্ষেত্রেও আপনার কাঙ্ক্ষিত বিনিময় মূল্য পাবেন না।
3. আমদানি-রপ্তানিঃ  আমদানি বা রপ্তানি নির্ভর বানিজ্য সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম রেট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না রাখলে আমদানি ব্যয় বেড়ে যেতে পারে বা রপ্তানি আয় কমে যেতে পারে।
4. উচ্চশিক্ষাঃ শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি পাঠানো, দুবাই যাওয়ার সময় টাকা সাথে নেয়া বা দেশে টাকা পাঠানো সবক্ষেত্রেই এক্সচেঞ্জের দরকার হবে। আপডেট রেট না জানলে ভালো দর পাবে না।
5. সাধারন জ্ঞানঃ দুবাই টাকার রেট না জানলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় দুবাই মুদ্রা সম্পর্কে আসা সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারবেন না।

দুবাই থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাবেন যেভাবে

• • হুন্ডিঃ বর্তমানে দুবাই থেকে বাংলাদেশে হুন্ডির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম পাঠাতে পারবেন।
  • ব্যাংকঃ বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে ২% ক্যাশ ইনসেন্টিভ দিচ্ছে, অর্থাৎ দুবাই থেকে আপনি যত টাকা পাঠাবেন সেটা বাংলাদেশে আপনার পরিবার ২% বেশি টাকা পাবে এক্সচেঞ্জ রেট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক দুবাই ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা দিচ্ছে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
  • বিকাশ/নগদঃ  বিকাশ নগদের মত মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী মাধ্যমগুলো ব্যাবহার করেও আপনি সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম দেশে পাঠাতে পারবেন।
  • ক্যাশঃ দুবাই থেকে বাংলা টাকায় এক্সচেঞ্জ করে আপনার কোন পরিচিত বিশ্বস্ত কারও কাছে ক্যাশ টাকা পাঠাতে পারবেন আপনার পরিবারের জন্য।
  • ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডঃ আপনার দুবাই ব্যাংকের ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড বাংলাদেশের এটিএমে ব্যাবহার করেও আপনি বাংলাদেশ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।

• ক্রিপ্টোকারেন্সিঃ ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাবহার করেও দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন দুবাই থেকে, তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশে আপনার কোন পরিচিত ক্রিপ্টো লেনদেনে অভিজ্ঞ কাওকে লাগবে।

• অনলাইন ওয়েবসাইটঃ বিভিন্ন অনলাইন মানি এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইট থেকেও আপনি সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম বাংলাদেশি টাকায় কনভার্ট করে বাংলাদেশের যেকোনো মোবাইল নাম্বারে লোড করে দিতে পারবেন।

দুবাই থেকে বাংলাদেশে কিভাবে টাকা পাঠালে রেট ভালো পাবেন

1. হুন্ডিঃ বর্তমানে দুবাই থেকে হুন্ডিতে টাকা পাঠালে সবচেয়ে ভালো রেট পাওয়া যায়। এই মুহূর্তে দুবাই ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা হুন্ডি রেট জানতে আপনার পরিচিত হুন্ডি ডিলারের সাথে যোগাযোগ করুন। তবে হুন্ডি বাংলাদেশের আইনে অবৈধ, তাই হুন্ডিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম লেনদেন না করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
2. ব্যাংকঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে দিরহাম পাঠালে মোটামুটি ভালো রেট পাবেন এবং সাথে ২% ক্যাশ ইনসেন্টিভ পাবেন ।
3. বিকাশ/নগদঃ  বিকাশ নগদের মাধ্যমে দিরহাম পাঠালে রেট একটু কম পাবেন কিন্তু সহজেই যখন ইচ্ছা টাকা ক্যাশ করতে পারবেন। বর্তমানে দুবাই ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা বিকাশ ,এই তথ্যটি বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে জেনে নিন।
4. ক্যাশঃ দুবাই থেকে ক্যাশ টাকা পাঠানো সহজ, কিন্তু আপনাকে বিশ্বস্ত লোকের মাধ্যমে পাঠাতে হবে, নইলে প্রতারিত হতে পারেন।
5. ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডঃ আপনার দুবাই ব্যাংকের ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড বাংলাদেশের এটিএমে ব্যাবহার করলে রেট তুলনামূলক ভালোই পাবেন, কিন্তু সব জায়গায় এটিএম বুথ পাবেন না।
6. ক্রিপ্টোকারেন্সিঃ ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাবহার করে দুবাই থেকে টাকা পাঠালে অনেক ভালো রেট পাবেন, তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন বাংলাদেশে অবৈধ, তাই এভাবে ঝুকি নিয়ে কষ্টার্জিত টাকা না পাঠানোই যুক্তিযুক্ত।
7. অনলাইন ওয়েবসাইটঃ অনলাইন মানি এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত দিরহাম বাংলাদেশি টাকায় কনভার্ট করলে রেট অনেক কম পাবেন।

দুবাই ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা সম্পর্কে উপসংহার

এই পোস্ট থেকে আমরা আজ জানলাম আজকের দুবাই ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা। এবং আমরা আরও জানলাম দুবাই টাকার মান জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ, না জানলে কি ক্ষতি, কিভাবে দুবাই থেকে দেশে টাকা পাঠানো সহজ এবং বেশি রেট পাওয়া যায়। আশা করি আপনাদের ভালভাবে বঝাতে পেরেছি। দুবাই মুদ্রা ব্যাবস্থা সম্পর্কে আপনাদের আরও কোন জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের ইমেইল করতে ভুলবেন না। ধান্যবাদ।