থাইল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা

থাইল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা জানার উদ্দেশ্যে আপনি বর্তমানে এই ওয়েবসাইটে অবস্থান করেছেন। আপনার থাইল্যান্ডের টাকার রেট সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর সহজভাবে দিতেই আমাদের এই পোস্ট। আশা করি থাইল্যান্ডের টাকার মান সম্পর্কিত এই পোস্ট থেকে আপনি উপকৃত হবেন এবং এই পোস্টটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের দেখাবেন। এতে সবাই উপকৃত হবে।

থাইল্যান্ডের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা

থাইল্যান্ডের ১ টাকা সমান বাংলাদেশের কত টাকা তা এই টেবিল থেকে দেখে নিন। এই টেবিলে বিভিন্ন থাইল্যান্ডের টাকার নোট ভাঙ্গালে বাংলা টাকায় কত টাকা পাবেন তা সহজভাবে দেখিয়ে দেয়া হয়েছে।

[gswpts_table id=13]

থাইল্যান্ডের মুদ্রার যে এক্সচেঞ্জ রেট বা বিনিময় মুল্য উপরের টেবিলে দেখতে পাচ্ছেন তা কিছুক্ষন আগেই সংশোধন করা হয়েছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন থাইল্যান্ডের মুদ্রার এই রেট সম্পূর্ণ আপডেটেড।

থাইল্যান্ডের ১ থাই বাত সমান কত টাকা

বর্তমানে থাইল্যান্ডের দেশে সবচেয়ে প্রচলিত মুদ্রার নাম হলো থাই বাত। থাইল্যান্ডের মুদ্রার সবচেয়ে আপডেট রেট জানানোর জন্য আমরা গুগোল ফাইনান্স চেক করেছি। গুগোল ফাইনান্সের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী থাইল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের ০৩ টাকা ১৩ পয়সা।

এবার এই কারেন্সি কনভার্টার টুল ব্যাবহার করলে আপনি আপনার পছন্দমত যে কোন পরিমাণ থাইল্যান্ডের টাকা বাংলা টাকায় কনভার্ট করে দেখতে পারবেন সহজেই। এই কারেন্সি কনভার্টার টুলে থাই বাত পরিমাণ লিখলেই বাংলায় টাকায় এক্সচেঞ্জ করে আপনাকে রেজাল্ট দেখিয়ে দেবে। আসুন দেখে নেই এই কারেন্সি কনভার্টার টুল কি দারুন কাজ করে-

এই টুল ব্যাবহার করা একদমই সহজ। আপনি জাস্ট থাইল্যান্ডের টাকার পরিমাণ লিখবেন উপরের বক্সে। দেখুন ম্যাজিকের মত নিচে আপনাকে বাংলা টাকায় কনভার্ট করে দেখাবে।

থাইল্যান্ডের টাকার মান কত

পৃথিবীর সকল দেশের মত থাইল্যান্ডের এরও নিজস্ব মুদ্রাব্যাবস্থা রয়েছে। বৈশ্বিক এবং অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন প্রভাবকে থাইল্যান্ডের টাকার মান নিয়ন্ত্রিত হয়। থাইল্যান্ডের দেশের সবচেয়ে প্রচলিত মুদ্রার নাম থাই বাত। থাইল্যান্ডের দেশটি তার সকল ধরনের লেনদেনে এই মুদ্রা ব্যাবহার করে। এছাড়া রিজার্ভ হিসাবে থাইল্যান্ডের প্রচুর থাই বাত এবং সোনা জমা করেছে। যা থাইল্যান্ডের অর্থনীতির ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। থাইল্যান্ডের মুদ্রার মান তারপরও সম্পূর্ণভাবে দেশটির রিজার্ভ, বৈদেশিক বাণিজ্য, আমদানি রপ্তানি, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষিতে উঠা-নামা করে। তবে থাই বাত রেটও প্রচুর উঠানামা করে।

থাইল্যান্ডের টাকার রেট কত টাকা

বাংলা টাকার সাথে থাই বাত রেট সবসময় পরিবর্তনশীল। প্রতি মুহূর্তে রেট উঠানামা করছে, পরিবর্তন খুব বেশি না হলেও সেটা সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে সামান্য রেট উঠানামা করলেও আপনি যখন ভালো পরিমাণ থাই বাত এক্সচেঞ্জ করতে যাবেন তখন বুঝতে পারবেন সামান্য একটু রেট বাড়লে এক্সচেঞ্জ রেট অনেক বদলে গেছে। ২০১৮ সালে ১ থাইল্যান্ডের টাকা দিলে বাংলাদেশের ০২ টাকা ৫৭ পয়সা , ২০১৯ সালে ০২ টাকা ৭৫ পয়সা ,২০২০ সালে ০২ টাকা ৭৯ পয়সা ,২০২১ সালে  ০২ টাকা ৭৮ পয়সা ,২০২২ সালে ০৩ টাকা ০৫ পয়সা পাওয়া যেত। বর্তমানে ১ থাইল্যান্ডের টাকা দিলে বাংলাদেশের ০৩ টাকা ১৩ পয়সা পাওয়া যাচ্ছে।

থাইল্যান্ডের ১০০ থাই বাত সমান কত টাকা

গুগোল ফাইনান্সের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে থাইল্যান্ডের ১০০ টাকা বাংলাদেশের ৩১৩ টাকা ০০ পয়সা।

থাইল্যান্ডের টাকার মান জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ

• ভ্রমনঃ ভ্রমনের উদ্দেশ্যে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক থাইল্যান্ডের যাচ্ছেন। থাইল্যান্ডের যাওয়ার আগে ওই দেশের মুদ্রাব্যাবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সাথে বাংলা টাকা ভাঙ্গানোর জন্যও প্রয়োজন পড়বে থাই বাত মান জেনে রাখা।
• প্রবাসীঃ  থাইল্যান্ডের দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন নিয়মিত রেমিটেন্স পাঠিয়ে। প্রবাসীদের মাঝে মধ্যেই থাই বাত ভাঙ্গানোর প্রয়োজন হয় দেশে বসবাসকারী স্বজনদের পাঠানোর জন্য। তাই থাইল্যান্ডের প্রবাসীদের থাইল্যান্ডের থাই বাত রেট জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
• আমদানি-রপ্তানিঃ  আমদানি বা রপ্তানি নির্ভর বানিজ্য থাই বাতের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল হলেও থাইল্যান্ডের দেশে বানিজ্য করতে হলে আপনাকে থাইল্যান্ডের থাই বাত রেট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে সবসময়।
• উচ্চশিক্ষাঃ উচ্চশিক্ষার জন্য প্রতি বছর বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী থাইল্যান্ডের যাচ্ছে। টিউশন ফি পাঠানো, থাইল্যান্ডের যাওয়ার সময় টাকা সাথে নেয়া বা দেশে টাকা পাঠানো সবক্ষেত্রেই দরকার হবে থাই বাত রেট জেনে নেয়া।
• সাধারন জ্ঞানঃ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় থাইল্যান্ডের মুদ্রা সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন আসতে দেখা যায়। চাকরীপ্রার্থীদের জন্য থাইল্যান্ডের টাকার রেট জানার কোন বিকল্প নেই।

থাইল্যান্ডের টাকার মান জানা না থাকলে কি ক্ষতি হতে পারে

1. ভ্রমনঃ ভ্রমনের উদ্দেশ্যে যারা থাইল্যান্ডের যাচ্ছেন তারা থাইল্যান্ডের যাওয়ার আগে ওই দেশের মুদ্রাব্যাবস্থা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না নিলে বাংলা টাকা ভাঙ্গানোর সময় এক্সচেঞ্জ থেকে রেট কম পাবেন। এই মুহূর্তে থাইল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা জানা থাকলে এক্সচেঞ্জে দরদাম করতে পারবেন, এবং রেট ভালো পাবেন।
2. প্রবাসীঃ  থাইল্যান্ডের দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা দেশে বসবাসকারী স্বজনদের পাঠানোর জন্য মাঝে মধ্যেই থাই বাত ভাঙ্গান। থাই বাত রেট না জানা থাকলে এক্ষেত্রেও আপনার কাঙ্ক্ষিত বিনিময় মূল্য পাবেন না।
3. আমদানি-রপ্তানিঃ  আমদানি বা রপ্তানি নির্ভর বানিজ্য থাই বাত রেট সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা না রাখলে আমদানি ব্যয় বেড়ে যেতে পারে বা রপ্তানি আয় কমে যেতে পারে।
4. উচ্চশিক্ষাঃ শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি পাঠানো, থাইল্যান্ডের যাওয়ার সময় টাকা সাথে নেয়া বা দেশে টাকা পাঠানো সবক্ষেত্রেই এক্সচেঞ্জের দরকার হবে। আপডেট রেট না জানলে ভালো দর পাবে না।
5. সাধারন জ্ঞানঃ থাইল্যান্ডের টাকার রেট না জানলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় থাইল্যান্ডের মুদ্রা সম্পর্কে আসা সহজ প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারবেন না।

থাইল্যান্ডের থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাবেন যেভাবে

• • হুন্ডিঃ বর্তমানে থাইল্যান্ডের থেকে বাংলাদেশে হুন্ডির মাধ্যমে থাই বাত পাঠাতে পারবেন।
  • ব্যাংকঃ বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে ২% ক্যাশ ইনসেন্টিভ দিচ্ছে, অর্থাৎ থাইল্যান্ডের থেকে আপনি যত টাকা পাঠাবেন সেটা বাংলাদেশে আপনার পরিবার ২% বেশি টাকা পাবে এক্সচেঞ্জ রেট থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ব্যাংক থাইল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা দিচ্ছে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
  • বিকাশ/নগদঃ  বিকাশ নগদের মত মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী মাধ্যমগুলো ব্যাবহার করেও আপনি থাই বাত দেশে পাঠাতে পারবেন।
  • ক্যাশঃ থাইল্যান্ডের থেকে বাংলা টাকায় এক্সচেঞ্জ করে আপনার কোন পরিচিত বিশ্বস্ত কারও কাছে ক্যাশ টাকা পাঠাতে পারবেন আপনার পরিবারের জন্য।
  • ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডঃ আপনার থাইল্যান্ডের ব্যাংকের ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড বাংলাদেশের এটিএমে ব্যাবহার করেও আপনি বাংলাদেশ থেকে টাকা তুলতে পারবেন।

• ক্রিপ্টোকারেন্সিঃ ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাবহার করেও দেশে টাকা পাঠাতে পারবেন থাইল্যান্ডের থেকে, তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশে আপনার কোন পরিচিত ক্রিপ্টো লেনদেনে অভিজ্ঞ কাওকে লাগবে।

• অনলাইন ওয়েবসাইটঃ বিভিন্ন অনলাইন মানি এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইট থেকেও আপনি থাই বাত বাংলাদেশি টাকায় কনভার্ট করে বাংলাদেশের যেকোনো মোবাইল নাম্বারে লোড করে দিতে পারবেন।

থাইল্যান্ডের থেকে বাংলাদেশে কিভাবে টাকা পাঠালে রেট ভালো পাবেন

1. হুন্ডিঃ বর্তমানে থাইল্যান্ডের থেকে হুন্ডিতে টাকা পাঠালে সবচেয়ে ভালো রেট পাওয়া যায়। এই মুহূর্তে থাইল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা হুন্ডি রেট জানতে আপনার পরিচিত হুন্ডি ডিলারের সাথে যোগাযোগ করুন। তবে হুন্ডি বাংলাদেশের আইনে অবৈধ, তাই হুন্ডিতে থাই বাত লেনদেন না করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
2. ব্যাংকঃ বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে থাই বাত পাঠালে মোটামুটি ভালো রেট পাবেন এবং সাথে ২% ক্যাশ ইনসেন্টিভ পাবেন ।
3. বিকাশ/নগদঃ  বিকাশ নগদের মাধ্যমে থাই বাত পাঠালে রেট একটু কম পাবেন কিন্তু সহজেই যখন ইচ্ছা টাকা ক্যাশ করতে পারবেন। বর্তমানে থাইল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা বিকাশ ,এই তথ্যটি বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে জেনে নিন।
4. ক্যাশঃ থাইল্যান্ডের থেকে ক্যাশ টাকা পাঠানো সহজ, কিন্তু আপনাকে বিশ্বস্ত লোকের মাধ্যমে পাঠাতে হবে, নইলে প্রতারিত হতে পারেন।
5. ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডঃ আপনার থাইল্যান্ডের ব্যাংকের ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড বাংলাদেশের এটিএমে ব্যাবহার করলে রেট তুলনামূলক ভালোই পাবেন, কিন্তু সব জায়গায় এটিএম বুথ পাবেন না।
6. ক্রিপ্টোকারেন্সিঃ ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাবহার করে থাইল্যান্ডের থেকে টাকা পাঠালে অনেক ভালো রেট পাবেন, তবে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন বাংলাদেশে অবৈধ, তাই এভাবে ঝুকি নিয়ে কষ্টার্জিত টাকা না পাঠানোই যুক্তিযুক্ত।
7. অনলাইন ওয়েবসাইটঃ অনলাইন মানি এক্সচেঞ্জ ওয়েবসাইট থেকে থাই বাত বাংলাদেশি টাকায় কনভার্ট করলে রেট অনেক কম পাবেন।

থাইল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা সম্পর্কে উপসংহার

এই পোস্ট থেকে আমরা আজ জানলাম আজকের থাইল্যান্ডের ১ টাকা বাংলাদেশের কত টাকা। এবং আমরা আরও জানলাম থাইল্যান্ডের টাকার মান জানা কেন গুরুত্বপূর্ণ, না জানলে কি ক্ষতি, কিভাবে থাইল্যান্ডের থেকে দেশে টাকা পাঠানো সহজ এবং বেশি রেট পাওয়া যায়। আশা করি আপনাদের ভালভাবে বঝাতে পেরেছি। থাইল্যান্ডের মুদ্রা ব্যাবস্থা সম্পর্কে আপনাদের আরও কোন জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের ইমেইল করতে ভুলবেন না। ধান্যবাদ।